যশোরের মনিরামপুর উপজেলার পল্লীতে ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলাম ত্রিভুজ প্রেম (পরকীয়ার) কারনে খুন হয়েছেন। প্রতিপক্ষ পরকীয়া প্রেমিক শফিকুল ইসলাম তাকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় আটক শফিকুল ও তার সহযোগী মামুন হোসেন ডিবি পুলিশের কাছে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। পুলিশ হত্যায় ব্যবহৃত কুড়াল ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে।
★ঘটনা প্রবাহের আগের খবর পড়ুনঃ যশোরে ব্যবসায়ী’র রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার
ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, গত ১১ ডিসেম্বর সকাল ৬ টায় মনিরামপুর নেহালপুরগামী বাটবিলা পাকা রাস্তা বিলের পাশ থেকে উদ্ধার হয় গোবিন্দপুরের খোরশেদ সানার ছেলে, কোনাকোলা বাজারের ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলামের (৫২) মৃতদেহ। তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় ও গলায় আঘাত করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ওইদিনই অজ্ঞাত আসামি করে নিহতের স্ত্রী সাইফুর নাহার মামলা করেন, যার নাম্বার ১০। এ হত্যকান্ডটি চাঞ্চল্যকর হওয়ায় জেলা গোয়েন্দা শাখা ও থানা পুলিশ যৌথভাবে তদন্তে নামে। তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তারা অপরাধীদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
এরপর ১৩ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১টা ৩০ মিনিটে মণিরাপুরের শ্যামনগর গ্রামে অভিযান চালায় ডিবি পুলিশ। এসময় তারা হত্যায় জড়িত দু’জনকে আটক ও হত্যায় ব্যবহৃত ধারালো কুড়াল, মোটরসাইকেল ও আসামিদের ব্যবহৃত দুটি মোবাইল উদ্ধার করে। আটককৃতরা হচ্ছে, শ্যামনগরের হাবিবুর মোল্লার ছেলে শফিকুল ইসলাম (৪৩) এবং একই গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে মামুন হোসেন (২৩)।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক শফিকুল জানিয়েছে, ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলামের টিউবওয়েলের ব্যবসা আছে কোনাকোলা বাজারে। শ্যামনগর গ্রামের জলিল মোড়লের স্ত্রী মর্জিনা বেগমের (৩৩) সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন জহিরুল। এর আগে মর্জিনা বেগম দীর্ঘদিন শফিকুল ইসলামের সাথে পরকীয়ায় আসক্ত ছিলেন। তাকে ছেড়ে জহিরুলের সাথে বর্তমানে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক সম্প্রতি শফিকুল জানতে পারলে মর্জিনা বেগমের সাথে তার বাকবিতন্ডা এবং দুরত্ব তৈরি হয়। এ নিয়ে মর্জিনা শফিকুলকে গালমন্দও করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শফিকুল ইসলাম অপমানের প্রতিশোধ নিতে গিয়ে জহিরুলকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ঘটনার দিন তিনি সহযোগী মামুনকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে থাকেন। ১০ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮ টায় কোনাকোলা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে তারা জহিরুলের মোটরসাইকেল গতিরোধ করে। এরপর তাকে ধারালো কুড়ালের আঘাতে হত্যা করে মরদেহ ও মোটরসাইকেল রাস্তার পাশে ফেলে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় মর্জিনাকেও থানা পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলে যশোর ডিবি পুলিশ সূত্রে জানাগেছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।